আমাদের প্রত্যেকের জীবন এক একটা মুদ্রিত বইয়ের ন্যায়। প্রত্যেকের নামে একটা করে বই। প্রকাশিত হয়ে গেছে। আপনার নামের বইয়ের এক একটা লাইন ধরে আপনি জীবন পার করে চলছেন। বইয়ের এখন হয়ত একটি লাইনে আপনার জীবন চলছে। পরের লাইনে কী আছে, আপনার জানা নেই। পরের পৃষ্ঠায় কী আছে, সেসব জানা তো আরও অকল্পনীয়।
ধরুন, এখন আপনার জীবন বইয়ের ৩ নম্বর পৃষ্ঠার ১০ নম্বর লাইনে চলছে, যেখানে হয়ত আপনার সংগ্রামের কথা লেখা আছে, কষ্টের কথা লেখা আছে। বইয়ের ৪ পৃষ্ঠার ৫ নম্বর লাইনে হয়ত আপনার চাকরি পাওয়ার কথা লেখা আছে।আবার যখন আপনার জীবন বইয়ের ৬ নম্বর পৃষ্ঠার ১১ নম্বর লাইনে আসবে, তখন হয়ত অনেক সুখ স্বাচ্ছন্দের কথা লেখা আছে। জীবনটা আমাদের জন্য সত্যিই এক মিরাকেল।আপনার জীবন কয় লাইন বা কয় পৃষ্ঠার বই, জানা নাই। কারো জীবন নামক বইয়ের কয়েকটি লাইন পরেই বইয়ের পৃষ্ঠা শেষ। আবার কারো জীবন নামক বইয়ের হয়ত পৃষ্ঠা খানিকটা বেশি। পার্থক্য শুধু এইটুকুই। কিন্তু অবশ্যই বইয়ের শেষ আছে। ঠিক যেন ‘ত্যাগ’ সিনেমায় আব্দুল হাদীর গাওয়া গানের মতোই-
কেহ আগে কেহ পরে
যেতে যে হবে
জমি জমা বাড়ি গাড়ি কিছুনা রবে।
আমি অধম কি করিব
সময় হলে চলে যাবো
মাটির দেহ মাটির মাঝে যাবে মিশিয়া।
লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।