কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বিয়ের ২১তম দিনে প্রবাসীর স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের (১৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে লালমাই থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ খৃষ্টাব্দ বিকালে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া সর্দারবাড়ী এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফাহিমা আক্তার দত্তপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মেহেদী হাসান হৃদয়ের (২৬) স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের গোসাইপুস্করনী গ্রামের মোস্তফা কামাল মজুমদারের মেয়ে।
লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার দাস বলেন, নিজের শয়ন কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে (ওড়না পেছিয়ে) ঝুলন্ত অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষটির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে। সুরতহালে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তাঁর গলায় ওড়না পেঁচানোর দাগ রয়েছে।
নিহতের শাশুড়ি বলেন, ‘দেড় বছর ধরে ছেলে সৌদিআরব থাকে। ছেলের সঙ্গে ফাহিমার প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ২৯ ডিসেম্বর মোবাইলে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুইদিন পুত্র বধু বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে এসেছে। সে খুব হাসিখুশি থাকতো, বাড়ির সবার সাথে মিশতো।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুপুরেও বৌ মাসহ একসাথে ভাত খেয়েছি। খাওয়ার পর সে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে কথা বলতে শুনেছি। বিকাল অনুমান ৩টায় আমি আমাদের অন্য একটি (নির্মাণাধীন) বাড়িতে যাওয়ার সময় বৌ মাকে ডাকাডাকি করি। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের পিছনে গিয়ে থাই গ্লাস দিয়ে দেখি বৌ মা’র দেহ ফ্যানের সাথে ওড়না পেছানো অবস্থায় ঝুলে আছে। দেখেই আমি চিৎকার দিতে থাকি।’
নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় আমি থানায় লিখিত আবেদন করেছি’। পুলিশ তদন্ত করে আত্মহত্যার সঠিক কারণ বের করুক। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘নববধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।