আজ সকালে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর আয়োজনে বিসিআই বোর্ডরুমে “হালাল পণ্যের বাজার, হালাল পণ্য উৎপাদনে অনুসরণীয় পদ্ধতি এবং হালাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ পদ্ধতি” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিসিআই এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব, মোঃ ওবায়দুর রহমান, আলোচক/ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি) এর সাবেক পরিচালক মো: খালেদ আবু নাছের, হালাল সার্টিফিকেশন এর উপ-পরিচালক (সিএম) এস এম আবু সাঈদ, বিএসটিআই এবং বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক (সিএম), সিএম উইং মোছা: রেবেকা সুলতানা । কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেক্টরের ২২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বিসিআই এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, এনডিসি এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, বিসিআই নিয়মিত ভাবে দেশের শিল্পায়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশ/প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে আসছে আর তারই ধারাবাহিকতায় হালাল পণ্য নিয়ে আজকের এই কর্মশালা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হালাল পণ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন আর হালাল পণ্য খাদ্য পণ্যের মধ্যে সিমাবদ্ধ নয় আমাদের নিত্য ব্যবহার্য সকল পণ্য হালাল হতে পারে যেমন, পোশাক, কলম, চশমা ইত্যাদি। হালাল পণ্যের চাহিদা বিশে^ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে তৈরী পোশাকের বিশে^ বাজার ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার সেখানে হালাল পণ্যের বাজার ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যা প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ হালাল পণ্য রপ্তানি করছে মাত্র ৮৪৩.০৩ মিলিয়ন ডলার যার বেশিরভাগই কৃষিভিত্তিক পণ্য। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের সেটা কাজে লাগানোর জন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে। পরিশেষে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য মাননীয় শিল্প সচিবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ওবায়দুর রহমান, সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় বলেন, হালাল পণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী দ্রæত বর্ধনশীল একটি খাত। শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিম ভোক্তারাও স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার কারণে হালাল পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এটি শুধু খাদ্য নয়, বরং প্রসাধনী, ওষুধ, পোশাক, পর্যটনসহ বহু খাতে বিস্তৃত। বিশে^ বৃহত্তম হালাল ভোক্তা দেশসমূহ হল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক এছাড়াও ইউরোপে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হালাল পণ্য বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এই বাজারে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র পরিকল্পিত উদ্যোগ, মানসম্পন্ন উৎপাদন ও সঠিক বিপণনের মাধ্যমে আমরা এই বিশ্ববাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারি। হালাল পণ্য হতে পারে বাংলাদেশের পরবর্তী রপ্তানিযোগ্য সোনালী খাত। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই এর পক্ষ থেকে হালাল পণ্যের বাজার বিকাশে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ^াস প্রদান করেন। পরিশেষে এই কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিসিআই সভাপতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় ভাগে “হালাল পণ্যের বাজারের” এর উপর আলোচক মো: খালেদ আবু নাছের আলোচনা করেন। পরবর্তীতে এস এম আবু সাঈদ ও মোছা: রেবেকা সুলতানা “হালাল পণ্য উৎপাদনে অনুসরণীয় পদ্ধতি এবং হালাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ পদ্ধতি” সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
কর্মশালার শেষ অংশে অংশগ্রহণকারীদের মতামত/ফিডব্যাক নেয়া হয় এবং সকলের নিকট সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়। বিসিআই এর সেক্রেটারি জেনারেল আলোচকবৃন্দ ও সকল অংশগ্রহণকারীকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানান এবং সকলকে বিসিআই এর বিভিন্ন কর্মসূচীর সাথে যুক্ত থাকার অনুরোধ জানান।
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হালাল পণ্য উৎপাদনে অনুসরণীয় পদ্ধতি এবং হালাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ পদ্ধতি” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
3 Mins Read৫ Views