আজ তুরস্কের আংকারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত পাঠ করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অত:পর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।
অত:পর দূতাবাসের সভাকক্ষে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তাঁর সমাপনী বক্তব্যের শুরতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং একই সঙ্গে তিনি ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকান্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব মোঃ শফিক উদ্দিন।