যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে দূতাবাস, আংকারা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে, অত্র দূতাবাসের ’বিজয় একাত্তর মিলনায়তন’-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। অত:পর দিবসটির উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান এবং তুরস্কে অবস্থানরত বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে মো: মাইনুল আহসান। পরিশেষে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তাঁর সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী লক্ষ-লক্ষ বীর শহীদদের, সকল জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রবহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে রূপলাভ করে। সময়ে সময়ে আমাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ হলেও উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে যায় নি। এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার গণঅভূত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অর্ন্তবর্তী সরকারের পাশে থেকে একটিউন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে সবাইকে আহবান জানান।