রতন কান্তি দে (উখিয়া ,কক্সবাজার):
উল্লেখযোগ্য পাঁচটি কারণে উখিয়া টেকনাফ আসনে পরিবর্তনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের চমক সৃষ্টির ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সহ হেভিওয়েট দুই প্রার্থী, তাদের বাড়ি একই উপজেলার একই ইউনিয়নে,গত পাঁচ বছরে নৌকার প্রার্থীকে জনগণ কাছে পাইনি তাদের এই দুর্বলতা গুলোর সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রভাব ফেলে চমক দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টুো।এমনটি বলেছেন তিনি।
কক্সবাজার ৪ উখিয়া টেকনাফ উপজেলা নিয়ে নির্বাচনী আসন।৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আঁটঘাট কোমর বেঁধে ভোট যুদ্ধ নেমেছেন
জাতীয় পার্টির মনোনীত নাঙ্গল প্রতীকের অধ্যাপক উখিয়া উপজেলার সদরের নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো।অপরদিকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সাংসদ শাহীন আক্তার, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব মো:নুরুল বশর।
তাদের দুজনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলা সদর একই ইউনিয়নে।ফলে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আঞ্চলিকতার
ঢেউ তুলে চষে বেড়াচ্ছেন উখিয়ার সর্বত্র। নির্বাচনী আলাপ চারিতায় এসব বিষয়ে তুলে ধরে নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টু বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নুরুল বশরকে উখিয়ার মানুষ চিনেনা ও জানে না এবং নৌকার প্রার্থী শাহীন আক্তার কে গত পাঁচ বছরে এলাকার জনগণ চোখে দেখেনি কাছে পায়নি। তাদের দুজনের ভোটের লড়াই টেকনাফে এসব কারণ এবং আঞ্চলিকতার টানে সাধারণ জনগণ লাঙ্গল প্রতীকেই গণ রায় দেবে।
উখিয়া টেকনাফবাসীর উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন মাদকের দুর্নামে জর্জরিত এদতঅঞ্চলকে মাদকমুক্ত করা,ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলা, সাবরাং ও ঘুমধুমের বন্ধ সীমান্ত করিডোর উন্মুক্তের উদ্যোগ গ্রহণ, মৎস্যজীবীরা যাতে নাফ নদীতে অবাধে মাছ আহরণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা,তিনি নির্বাচিত হলে এগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান এই অঞ্চলে জাতীয় পার্টির এবং আওয়ামীলীগ বিরোধী বিশাল ভোটব্যাংক আমার পক্ষে রয়েছে। এছাড়া সাবেক ও বর্তমান অনেক জনপ্রতিনিধি নানা সমীকরণের কারণে গোপনে আমার জন্য নির্বাচন করছে। এতে নৌকা ও ঈগলের প্রার্থীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে এবং ডামি প্রার্থী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রতিদিন নির্বাচনী গণ সংযোগ এবং উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
গণজোয়ারের পাল বইছে লাঙ্গলের ।নীরব ব্যালট বিপ্লবে এবার পরিবর্তনের চমক দেখাবে ভোটাররা।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহ্বায়ক সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার এসব প্রসঙ্গে বলেন নাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে একই দলের দুই প্রাথী হওয়ায় তার পাল্লা ভারী হয়ে উঠছে। এতে আঞ্চলিকতার টান ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। পরিবর্তন অসম্ভব কিছু না। তবে গত পাঁচ বছরে নৌকার প্রার্থী সাংসদ শাহীন আক্তারের
উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম থাকলেও তার পক্ষে উখিয়া টেকনাফের জনগণ সুখে দুঃখে কাছে পেয়েছে উনার স্বামী সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি কে।এছাড়াও বিগত পনেরো বছরের তাদের স্বামী স্ত্রীর ক্ষমতার আমলে দুই উপজেলায় সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে এবং দুস্হ মানুষের আপদ বিপদে ব্যক্তিগতভাবে উদার হস্তে সহায়তা করেন।
ফলে তৃণমূলের আমজনতার বিশাল ভোটব্যাংক তার পক্ষে বলে মনে হচ্ছে।