পুরনো ঢাকার পোস্তগোলার আইজি গেট, আরসিন গেট, করিমউল্লাহবাগ, ফরিদাবাদ, মিলব্যারাক, হরিচরণ রায় রোড, কে.বি. রোড, গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোড, ডিষ্টিলারী রোড, সতিশ সরকার রোড ও এর আশে-পাশের্^র সকল বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটে অজ¯্র মুখ খোলা ম্যানহোল ও শত শত গর্তে ভরপুর যা দেখার কেউ নেই। প্রায় এক বছর ধরে একই অবস্থা চলছে অথচ যাদের দেখার তারাই উদাসীন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কখনও জনদূর্ভোগকে মূল্যায়ন করে না। এ ছাড়াও এই সকল রাস্তার দুই ধারে অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা ডীপ ড্রেন ও ম্যানহোলগুলো খোলা ও বিপদজ্জনক অবস্থায় পরে রয়েছে। প্রতি দিন-রাত্র অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে রাস্তা খারাপের কারণে বহু ভাড়াটিয়া এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে
এ ছাড়াও এলাকার বিধ্বস্ত রাস্তার সংস্কারের নামে চলছে দীর্ঘসূত্রতা ও আর্থিক নয় ছয়ের অভিযোগ। রাস্তার কাজ করার আগে অবৈজ্ঞানিকভাবে ডীপ ড্রেনের সংস্কারে যে অসম্পূর্ণ কাজ করা হয়েছে তাও আবার অতি নি¤œমানের। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবহেলা ও উদাসীনতার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ১৮ কোটি টাকার বাজেটের এই রাস্তাটির কাজ শুরু না হলে যেটুকু হয়েছে তাও আবার যথেষ্ট নি¤œমানের। হুশ নেই নগর ভবণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও প্রধান প্রকৌশলীর। ডীপ ড্রেন ও রাস্তার কাজে কোন গুনগত মান বজায় রাখা হচ্ছে না। চলছে ব্যাপক অনিয়ম যা দেখার কেউ নেই। দীর্ঘ দিন যাবৎ এই এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ভগ্ন দশা অবস্থায় পরে আছে। স্থানীয় জনগণ এলাকাবাসী এই রাস্তা সংস্কার করার জন্য কয়েক বছর ধরে দাবী জানিয়ে আসছে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নগর ভবণ কখনও জনদূর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা করছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার অসংখ্য গর্তে পানি জমে থাকে। যানবাহন ও পথচারীদের ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলে বেশ বেগ পেতে হয়। বর্তমানে পোস্তাগোলা টু গেন্ডারিয়ার লোহারপুল পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।