রতন কান্তি দে উখিয়া (কক্সবাজার) :
মহান বিজয় দিবস ২৩ উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোকিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল বড়ুয়া,জাফর আলম চৌধুরী, আবুল কাশেম সরকারি কমিশনার (ভূমি) উখিয়া সালেহ আহমদ, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম, উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খান,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুল আলম, প্রমূখ।
মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের উত্থাল রণাঙ্গনের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য বলেন বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে সঠিক নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ডের জন্ম হয়েছে। আজ আমাদের গর্ব হচ্ছে দেশের মেধাবী সন্তান তরুণ প্রজন্মের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করে স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছেন।এটাই আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার ছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত এবং পরে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এছাড়া বিজয় দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ভোর সকালে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে ২১ বার তোপধ্বনীর পর উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন,থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উখিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক করা হয়।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ও সহযোগী সংগঠন, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর,রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সকাল সাড়ে আটটা থেকে উখিয়া সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম এর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ, প্যারেড পরিদর্শন,কুচকাআওয়াজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মনমুগ্ধমক্কর, দৃষ্টিনন্দন, শারীরিক কসরত( ডিসপ্লে) প্রদর্শন করা হয়।
এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য হাজারো মানুষের ঢল নামে।রাস্তায় ও মাঠে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। লক্ষণীয় হচ্ছে বিজয়ের আনন্দে উচ্চশিত সাধারণ মানুষ নারী-পুরুষ শিশুদের মেলায় পরিণত হয়। সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটায় রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদ বনাম উপজেলা প্রশাসনের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং সন্ধ্যায় উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।