রাজধানীর মিরপুরের বড়বাগ এলাকার (বসতি হাউজিং ৪ নম্বর গেইটের পূর্বে) ২ নম্বর রোডে বহুতল ভবন নির্মাণের সময় ৫ টন ওজনের ম্যানুয়াল হ্যামার দিয়ে পাইলিং করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কার্নিভাল স্টেট লিমিটেড। ওজন শূন্য অবস্থায় ৫ টনের হ্যামারটি যখন উপর থেকে ছাড়া হয় তখন ১০০ টনেরও বেশি শক্তি প্রয়োগ করে। হ্যামার দিয়ে ম্যানুয়ালি পাইলিং করতে গিয়ে অনেক উপর থেকে হ্যামারটি যখন নিচে ফেলছে তখন বিকট শব্দের সৃস্টি হচ্ছে। যেহেতু ঘনবসতি এলাকা সেহেতু উক্ত নির্মানিধীন জায়গার আসে পাশের ভবনের জানালার কাচ সহ পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠছে। বিল্ডিং এ অবস্থানরত বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া সেখানে থাকা বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা আরো অসুস্থ হয়ে পরছে। এমনকি আশেপাশের কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আশেপাশের বাসিন্দারা । এমন ঘনবসতি এলাকায় ম্যানুয়াল হ্যামার দিয়ে পাইলিং এর ঘটনায় বরং অবাক হয়েছে স্থানীয়রা।
একের এক দুর্ঘটনায় কয়েকশ মানুষ মারা গেলেও ভবন নির্মাণে আইনের যেন তোয়াক্কাই করছেনা ভবন মালিকরা বা ডেভলপার কোম্পানিগুলো। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে ঢাকার অনেক ভবন এবং ভবনে অবস্থারত বাসিন্দারা ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজউকে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজউকের পরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ বন্ধের নোটিশ দিয়েছি এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের ক্ষতি হোক এমন পদ্ধতি এড়িয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম বলেন, একটি হ্যামারের ওজন শূন্য অবস্থায় ৫ টন। যখন উপর থেকে ছাড়া হয় তখন ১০০ টনেরও বেশি শক্তি প্রয়োগ করে। এতে করে ভূমিকম্পের মত কাঁপুনির সৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীর মধ্যে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জনবসতি এলাকায় হ্যামার দিয়ে কাজ করা একদমই উচিত নয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী ছাব্বীর আহমদ (বিপি) জানান, দুপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। কাজ বন্ধ রয়েছে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে পাইলিং এর দায়িত্বে থাকা কার্নিভাল স্টেট লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল্লা ওয়াসি টেলিফোনে জানান, আশেপাশে থেকে অভিযোগ পাওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকল্প কোনো পদ্ধতি বের না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।