আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া :
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি সমগ্র বিশ্বে আজ সমাদৃত । ১৯৭৩ সালের ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি বর্তমানে ২০২৩ সালে এসে ৪২০.৫২ বিলিয়ন (১.৪৮ ট্রিলিয়ন) মার্কিন ডলারে উন্নিত হয়েছে। ইয়াহু ফাইন্যান্স ডটকম ৩১ অক্টোবর, ২০২৩-এ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। যেখানে বাংলাদেশ সহ ২৫টি দেশের অর্থনীতির বর্তমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকলে এখন থেকে ৫২ বছর পর অর্থ্যাৎ ২০৭৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশগুলোর অবস্থান কি হবে তা তুলে ধরা হয়েছে। নিবন্ধনটি নিয়ে বাংলাদেশের আন্দদিত হওয়ার বিষয় হচ্ছে ২০৭৫ সালের বিশ্ব অর্থনীতির ২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আলোচনায় রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ২০৭৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতির ১৬তম অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। তাদের নিবন্ধনে অর্থনীতির কি কি বিবেচনায় ২৫টি দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে সেই সব বিষয়গুলো নিয়ে একটু আলোকপাত করা যেতে পারে। প্রতিবেদনটিতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ভারতের অর্থনীতির উত্থান এবং এটিকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা গুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান এখন সর্বচ্চো পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভালো পারফর্ম করছে,তবে সামগ্রিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতি কিন্ত খুব ইতিবাচক নয়। এটা প্রত্যাশিত যে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পাবে। তবুও কয়েটি ইতিবাচক দিক ইয়াহু ফাইনান্স ডটকম তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। বর্তমান সময়ে মুল্যস্ফীতি পুরো বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছিল। ২০২২ এবং ২০২৩ উভয় ক্ষেত্রেই, রেকর্ড উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি উল্লেখ যোগ্যভাবে সংগ্রাম করেছে, যা বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলকে প্রভাবিত করেছে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল যার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং প্রবৃদ্ধি হার মন্থর হয়ে হয়ে পড়ে। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রও মূল্যস্ফীতির প্রভাব অনুভব করেছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর বর্ধিত ভোক্তা ব্যয়, উচ্চ রপ্তানি, আবাসিক বিনিয়োগ এবং সরকারী ব্যয় বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলিতে এই বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। অনেকটা এককভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অসামান্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতিধারা এখনও খুব ইতিবাচক নয়। এ্ই সকল বিষয়কে পাশকাটিয়ে ইয়াহু ফাইনান্স ডটকম গবেষনায় অন্যান্য কিছু পজেটিভ বিষয়ের উপর ফোকাস করতে চায়। তাদের মতে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালে ৬.৮%-এ নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছর ছিল ৮.৭%।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি হাল সময়ে অনেকটা হ্রাস পেলেও বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির আস্ফালনের সাথে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যাইহোক, এই চ্যালেঞ্জটি দেশের জন্য নীতি-পরিকল্পনা এবং উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার একটি সুযোগ উপস্থাপন করবে যা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে। এই নিবন্ধে ইয়াহু ফাইনান্স ডটকম উল্লেখ করে যে “২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বে আপনি যদি আমাদের বিস্তারিত বিশ্লেষণ এডিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনি সরাসরি ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি অর্থনীতির দেশের উপর নজর রাখতে পারেন।’’
বৈশ্বিক অর্থনীতি আগের প্রত্যাশার চেয়ে কম হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি হল চীনের সাময়িক মন্দা অর্থনীতি, যারা ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি দেশগুলির মধ্যে একটি ১ম অবস্থানে থাকবে বলে মনে করা হয়। প্রতিবেদনটির ব্যাখ্যা অনুযায়ী চীন অনেক পরে শূন্য-কোভিড নীতি অনুসরণ করেছিল এবং দেশটি দীর্ঘ সময়ের জন্য লকডাউন চালু রেখেছিল। ২০২২ সালের শেষের দিকে দেশটি এই পদ্ধতিটি পরিত্যাগ করলেও, মহামারীর পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সবল অর্থনীতিতে ফিরে আসার জন্য দেশটি এখনও সংগ্রাম করেছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় একটি কথা আছে প্রচলিত আছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন হাঁচি দেয়, তখন সমগ্র বিশ্ব শীত নেমে আসে”। যা বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার প্রভাবকে নির্দেশ করে, তবে গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব চীনের উল্কা মত প্রবৃদ্ধি একই রকম প্রভাব দেখছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো। চীন অনেক বিভিন্ন দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সহজতর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং বিশ্বের বড় বড় কোম্পানী গুলো চীনের মাধ্যমে বেশীভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে। প্রতিবেদনে বহুবিদ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে চীনকে ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে বলা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেশটি এখনও তাদের প্রত্যাশিত সুঠম অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
কিন্ত তবুও কিছু চমক রয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্ব ভালো প্রবৃব্ধির জন্য সংগ্রাম করতে হতে পারে এমন একটি ধারনার কারণ হল বিশ্ব জনসংখ্যা নিম্ন বৃদ্ধির হার, কারণ উচ্চ প্রজনন হার সহ দেশগুলি প্রধানত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। এই কারণেই উদীয়মান বাজারগুলি উন্নত বাজারের তুলনায় অনেক বেশি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে গর্ব করে। ফলে ২০৫০ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি প্রথম কাতারে থাকবে চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয় এবং জার্মানি। সবচেয়ে বড় অবাক করা বিষয় হল, ২০৭৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যেও থাকবে না! বিষয়টি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে, আমেরিকার জনসংখ্যা চীন এবং ভারতের তুলনায় অনেক কম এবং এই দেশ দুইটি ২০২৩ সালের পরবর্তীতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ হবে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত এক দশকে প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে বলা যাবে না, এবং এমনকি মার্কিন ডলারের ব্যতিক্রমী শক্তিও ক্রমানয়ে হ্রাস পাচ্ছে, যা আরো কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি নির্ধারণের জন্য, ইয়াহু ফাইনান্স ডটকম গোল্ডম্যান শ্যাক্স দ্বারা তৈরি একটি প্রতিবেদনের সহায়তা নিয়েছে বলে তা উল্লেখ করেছে, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের প্রবৃদ্ধির হার মূল্যায়ন করে এবং ২০৭৫ সালে দেশগুলোর জিডিপি কী হবে তা নির্ধারণ করেছে। ইয়াহু ফাইনান্স ডটকমেএর তৈরি করা তালিকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের অবস্থান নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। তালিকায় সবচেয়ে নিচের ২৫ নম্বরে সারিতে থাকছে দক্ষিণ আফ্রিকা যাদের ২০৭৫ সালে প্রত্যাশিত জিডিপি হবে ৩.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, তবে এটি ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালের নেগেটিভ পূর্বাভাসকে পরাভুত করেছে। এছাড়া তালিকায় ২৪ নম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া ২০৭৫ সালে প্রত্যাশিত জিডিপি হবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া গত কয়েক দশকে একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তালিকায় মধ্যম সারি অর্থ্যা ১৮ নম্বরে থাকছে সৌদি আরব, যাদের ২০৭৫ সালে প্রত্যাশিত জিডিপি থাকবে ৬.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তেল সমৃদ্ধ দেশটির মাথাপিছু বিশ্বের সর্বোচ্চ জিডিপি রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই বিশ্ব মঞ্চে দেশটি প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। ২০২২ সালের হিসেব অনুসারে সৌদি আরব ৮.৭% হারে প্রবৃদ্ধির করেছে যদিও দেশটির জন্য সবচেয়ে ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদের তেল মজুদ অব্যাহত থাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত ২০৭৫ সালে প্রত্যাশিত ৫২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি নিয়ে ২য় অবস্থানে থাকবে। একটি প্রধান অর্থনীতি হিসাবে ভারতের উত্থান গত কয়েক বছরে সরকারি বাণিজ্য নীতি পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফল। ২০৭৫ সালে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। ‘এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সে’র অনুমান অনুযায়ী, ভারতের উপভোক্তা বাজারের যেভাবে বিস্তৃতি ঘটছে এবং যেভাবে শিল্পক্ষেত্রে বিকাশ ঘটছে, এর ফলে ২০৭৫ সালের মধ্যে অর্থনীতির দৌড়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্র,জাপান এবং জার্মানিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। তবে চীনের জনসংখ্যা বিবেচনা শিক্ষা ও পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ কারনে তারা ভারত থেকে অনেক দূর এগিয়ে থাকবে।
তালিকায় ১৬ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের ২০৭৫ সালে প্রত্যাশিত জিডিপি হবে ৬.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। আয়তনে ছোট বাংলাদেশের পরিশ্রমী মানব সম্পদ, দীর্ঘ সময় ধরে প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকায় তালিকায় ১৬ তম স্থানে উঠে আসার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে। যদিও আর্থিক বিশ্লেষন নিয়ে কাজ করা গবেষনা প্রতিষ্ঠান এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স আশা করেছিল বাংলাদেশ ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ৬.৪% হারে বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্ত দেশে তারল্য ঝুঁকির কারণে S&P তাদের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গিকে কিছুটা নেতিবাচক দিকে পরিবর্তন করেছে (সূত্র : ইয়াহু ফিন্যান্স, ফোর্বস ম্যাগাজিন)। বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা, শুল্ক/অশুল্ক বাধা,বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ কমে যাওয়া সহ রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি অনেকটাই চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন। আগামী বছরগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ধাক্কা- এ ৩টি বিষয়কে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।
উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বিগত কয়েক বছর ধরেই নানাভাবে আলোচনা হচ্ছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বলছিল, ২০৫০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ তিনটি দেশের একটি হবে বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, উক্ত সময়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৩ তম বড় অর্থনীতির দেশ। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রতিবেদনটি আমাদের আশার শক্তির সঞ্চার করছে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় একটি কৌশলগত অবস্থান সহ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আমাদের ভূকৌশলগত অবস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ একটি প্রধান উদিয়মান খেলোয়াড় হওয়ার দোরগোড়ায়। আমাদের নীতি নির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের অর্থনীতির গতিশীল এই দেশটির অর্থ-বানিজ্যের নীতি গবেষনা এবং সঠিক বাস্তবায়নের প্রতি আরো গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ এটি নিশ্চিত যে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি বড় শক্তির অর্থনৈতিক দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ হাব হয়ে উঠবে। ২০৭৫ সালে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে তার ক্রমবর্ধমান শিল্প,বাণিজ্য বিনিয়োগ এবং অর্থও বাণিজ্য নীতির কৌশলের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ দেশী/বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে শিল্প/সেবা খাতে বিনিয়োগে প্রবল আগ্রহ দেশের অর্থনীতি গতিধারা সম্মুন্নত রাখতে গুরুর্তপূর্ন অবদান রাখবে। পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ধারা অব্যাহত রাখা সহ বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেশে বিনিয়োগ অবকাঠামোর নির্মানের পাশাপাশি বিনিয়োগ বান্ধবনীতি-পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে, অবশ্যই বাংলাদেশ কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত বিশ্ব অর্থনীতির একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিনিত হবে।
লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
উপ-পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেপজা।
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশঃ নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত
7 Mins Read০ Views