আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া :
বিশ্বায়নের এই যুগে অর্থ-বাণিজ্যের শাস্ত্রীয় বিষয়ও এখন সাধারণের আলোচনার অংশ যা আগে শুধু মাত্র তাত্ত্বিকদের বিষয়ভিত্তিক মতামতের ব্যাপার ছিল। তবে এখনকার সময়ে অর্থ-বাণিজ্যের খুঁটিনাটি বিষয়ও ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সর্বত্রএখন আলোচ্য বিষয়। অর্থশাস্ত্রের তত্ত্বগুলো একটি জটিল এবং প্রায়ই একক সিদ্ধান্তে আসা কঠিনও বটে। কোভিডের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক গৃহীত সিদ্ধাতই সঠিকভবে কাজ করেনি, ফলশ্রুতিতে একটি অপ্রতিরোধ্য মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, বৈদেশিক ঋণেরকিস্তি পরিশোধের চাপ সহ ডলার (মার্কিন ডলার)সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
সংকটের কারণ কী?
অন্যান্য দেশের অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অগ্রগতির ধারায় ধাবিত ছিল। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থানও করে নিচ্ছিল। দারিদ্র্য বিমোচনেও ছিল প্রশংসনীয় অগ্রগতি। উন্নয়ন ও অগ্রগতির আন্তর্জাতিকস্বীকৃতি পাওয়া গিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের কাছ থেকে। দেশের অর্থনীতি “ডাচ রোগ” পার্দুভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, ঋণ ব্যবস্থাপনার শৈথল্য,মুদ্রা বিনিময়ের চাপ, বাণিজ্য ঘাটতি সংকট তৈরি আমাদের অগ্রসরমান অর্থনৈতিতে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। অর্থনীতিতে “ডাচ রোগ” শব্দটি এমন একটি বিষয়কে বর্ণনা করে যেখানে একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক সম্পদের সেক্টরের উপর একটি দেশের অত্যধিক নির্ভরতা যা শিল্প উৎপাদন বা কৃষি সহ অন্যান্য খাতের বৃদ্ধির হারকে নিম্নগামী করে। এর ফলে অ-পারফর্মিং ঋণের উচ্চ হার, কম স্থিতিস্থাপক বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের মাত্রা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা দেখা দিতে পারে। দেশের অর্থনীতি একটি একক শিল্পের উপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভরশীল হয়ে পডতে পারে। মূলত: ডাচ রোগটি ঘটে যখন একটি উত্থিত প্রাকৃতিক সম্পদ খাত দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে পতনের দিকে নিয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যাইহোক, অতিমারি, ইউক্রেনে রাশিয়ার এবং আমদানির চাপ, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ, অর্থ পাচার ইত্যাদি পরবর্তী ঘটনাগুলি এই ফল্ট লাইনগুলিকে এমন পরিমাণে উন্মোচিত হয়েছে যে যা বিষয়গুলোর অর্থনীতির বিন্যাস স্তরকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে হচ্ছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের একটি উদার বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু যা প্রথম বাণিজ্য নীতি ছিল আমদানি প্রতিস্থাপন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি করা। এই নীতির লক্ষ্য ছিল উৎপাদন শিল্পের জন্য একটি সুরক্ষিত অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করা এবং সেই সাথে দেশের অর্থ প্রদানের ভারসাম্যকে শক্তিশালী করা (ভুয়ান ও রশিদ, ১৯৯৩)। মধ্যপন্থী উদারীকরণের একটি নীতি ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল এবং ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে আরও ব্যাপক বাণিজ্য উদারীকরণ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ আরও উদার বাণিজ্য নীতি তৈরির জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হলেও কার্যতঃ বেশী দূর এগোনো যাইনি।
বিগত কয়েক দশক দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সেক্টরে অনেক কিছু ভালোভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও বর্তমানে সৃষ্ট ডলার সংকট আরো বেশী ঘনীভূত হয়েছে যা বিভিন্ন সময়ের নীতি-সিদ্ধানÍ ফলপ্রসূ না হওয়ারইপরিনতি। মূলতঃ বাংলাদেশ উদার বাণিজ্য নীতি বা ব্যবস্থার বহুমার্ত্রিক ব্যবহারে সক্ষমতা থাকলেও সফল হতে পারেনি। বিগত দুই দশক ধরে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রন করে টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকামো ধরে রেখেছিল। যা কার্যত এটির নেতিবাচক ফলাফল তৈরি করতে সহায়তা করেছে। শিল্পনীতির উদ্দেশ্য সময়ের সাথে সাথে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া খুবই দুর্বল জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ ১৯৭০ এর দশকে একটি আমদানি-প্রতিস্থাপন শিল্পায়ন কৌশল অনুসরণ করে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশকে উচ্চ শুল্ক এবং অশুল্ক বাণিজ্য বাধা, সেইসাথে সরকারের আমদানি-প্রতিস্থাপন শিল্পায়ন পরিকল্পনা দ্বারা শক্তিশালী একটি অতিরিক্ত মূল্যের বিনিময় হার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হতে হচ্ছে। সরকারের অনমনীয় বিনিময় হার নীতির অবস্থানও এই সংকেত দিয়েছে যে দেশীয় মুদ্রার অবচয়/অবমূল্যায়ন অবশ্যম্ভাবী এবং একইভাবে স্থানীয় মুদ্রার শর্তাবলীতে পুনর্মূল্যায়ন করে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। যতদিন আমরা ঋণ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ছিলাম ততদিন আমাদের আর্থিক হিসাব ইতিবাচক ছিল। কিন্তু এখন আমাদের ঋণ পরিশোধ সময় এসেছে, যখন বিশ্ব বাজারে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যমান ঋণ পুনঃঅর্থায়নে বিদেশী ঋণদাতাদের অনীহার কারণে নতুন ঋণের প্রবাহ কমে গেছে, আর্থিক হিসাব সম্প্রতি নেতিবাচক হয়ে গেছে। জবাবে আমাদের আমদানিতে অর্দৃশ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হয়েছে।” অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এ (ডলার বিনিময়) ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালু করতে হয়েছে। এখন আমরা আলোচনা করবো ক্রলিং পেগ কি, কেন এটি ব্যবহার করতে হয়।
সংকট ও চ্যালেঞ্জঃ
ক্রলিং-পেগ এক্সচেঞ্জ রেট সিস্টেম হল একটি কার্যকর ব্যবস্থা যা একটি দেশের মুদ্রাকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করতে সুযোগ করে বিনিময় হারে নমনীয়তা এবং স্থিতিশীলতার সুষম স্তরের ধরে রাখতে সহায়তা করে। এই সিস্টেমটি অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে সামঞ্জস্য করার জন্য ডিজাইন করা এবং মুদ্রার ঝুড়ি বা মুদ্রাস্ফীতির পরিমাপের মতো অর্থনৈতিক সূচকগুলির উপর ভিত্তি করে নিয়ম বা সূত্রের একটি ধারা অনুসরণ করে। অনেক দেশ একটি প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার বজায় রাখতে এবং তাদের অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারে এমন আকস্মিক ওঠানামা এড়াতে এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে। ক্রলিং পেগগুলি ট্রেডিং অংশীদারদের মধ্যে বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা প্রদান করতে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে যখন একটি মুদ্রার দুর্বলতা থাকে। সাধারণত, ক্রলিং পেগগুলি উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর হয় যাদের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা মার্কিন ডলার বা ইউরোর সাথে সংযুক্ত থাকে।
ক্রলিং পেগ দুটি পিরামিডের সঙ্গে সেট আপ করা হয়. প্রথমটি পেগ করা মুদ্রার সমমূল্য বা সমান মান এরপর বিনিময় হারের একটি সীমার মধ্যে স্থির করে দেওয়া হয়। ক্রলিং অন্যতম বৈশিষ্ঠ হলো বাজার বা অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে এই ব্যবস্থার উপাদানগুলিকে উভয়ই দিকে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে। বিনিময় হার নির্দিষ্ট মুদ্রার সরবরাহ এবং চাহিদা দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং ক্রলিং কারেন্সি পেগ হিসাবে কাজ করে। ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, একটি পেগড কারেন্সি সহ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তার নিজস্ব মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রি করে। এটি অতিরিক্ত সরবরাহ রোধ করার জন্য ক্রয় করে এবং ঘাটতি বা চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তরফ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয় করে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। পেগ করা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা কিনতে বা বিক্রি করতে পারে যেখানে এটি পেগ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, উচ্চ পরিমাণ এবং অস্থিরতার সময়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য পেগড দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সাথে এই কার্যক্রমগুলিকে সমন্বয় করতে পারে। ক্রলিং পেগের সুবিধা যখন একটি ক্রলিং পেগ প্রতিষ্ঠিত হয় তখন প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল ট্রেডিং অংশীদারদের মধ্যে একটি মাত্রার স্থিতিশীলতা প্রদান করা, যার মধ্যে অর্থনৈতিক উত্থান এড়াতে পেগ করা মুদ্রার নিয়ন্ত্রিত অবমূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার এবং ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে , লাতিন আমেরিকার দেশগুলির মুদ্রাগুলি সাধারণত মার্কিন ডলারের সাথে যুক্ত হয়। একটি পেগড কারেন্সি দুর্বল হওয়ার সাথে সাথে, সমমূল্য এবং বন্ধনী পরিসীমা উভয়ই পতনকে মসৃণ করতে এবং ট্রেডিং অংশীদারদের মধ্যে বিনিময় হারের পূর্বাভাসের একটি স্তর বজায় রাখতে ক্রমবর্ধমানভাবে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।
যেহেতু মুদ্রার পেগিং প্রক্রিয়ার ফলে কৃত্রিম বিনিময় স্তর হতে পারে, তাই একটি হুমকি রয়েছে যে ফটকাবাজ, মুদ্রা ব্যবসায়ী বা বাজারগুলি মুদ্রা স্থিতিশীল করার জন্য ডিজাইন করা প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। ক্রলিং পেগ একটি ভাঙ্গা খুঁটি হিসাবে উল্লেখ যায়, একটি দেশের মুদ্রা রক্ষা করতে অক্ষমতার ফলে কৃত্রিমভাবে উচ্চ স্তরের একটি তীক্ষè অবমূল্যায়ন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে।
অর্থনীতি ও বাণিজ্য ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। একটি দেশের বাণিজ্যের বিভিন্ন সূচক দেখে অনুমান করা যায় দেশের আর্থিক খাত কেমন বলিষ্ট। শাস্ত্রীয় অর্থনীতির দুর্বলতা দিক হলো, এটি বাণিজ্যচক্র দেখতে পায়না বা অধিকতর গুরুত্ব দেয় না। বাংলাদেশ যেহেতু নেট আমদানী নির্ভর দেশ এখানে রপ্তানী মোট অংকের চেয়ে আমদানির অংক অনেক বড়। তবে বর্তমানে আমদানিকারন মার্কিন ডলার সংকটের কারনে কিছুটা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তবে এক্ষত্রে আমদানীকারকগন বিকল্প পথ ব্যবহার করে ব্যবসা করে থাকেন। মার্কিন ডলারের মূল্য অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পক্ষান্তরে বাংলাদেশী টাকার অবমূল্যায়ন হেতু আমদানী ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এড়াছাও জ্বালানি,পরিবহন,উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবন যাত্রার ব্যয় অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। ফলে অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়া মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে সংকট আরো ঘনীভূত করছে। ডাব্লিওটিওপ্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতির উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালে আমদানী-রপ্তানী উভয় ক্ষেত্রে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। যাইহোক, এটি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতাগুলোর অস্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী ।সূত্রঃ ডাব্লিওটিও
মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া , ডলার সংকট সহ যাবতীয় বিষয়ই নির্ভর করে একটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় এবং ব্যয়ের পার্থক্যের কারণে ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি অথবা উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনে করোনা প্রার্দুভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়,এছাড়া প্রবাসী আয়ের বড় একটা অংশ এখন আর বৈধ পথে দেশে না আসায়বাংলাদেশে ডলারের সংকটের জন্য অনেকটা দায়ী। হুন্ডির মাধ্যমে এই প্রবাসী আয়ের বড় একটা অংশ দেশে আসছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে, এটিও এই সংকট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তাছাড়াও বর্তমানে সরকার আইএমএফ,বিশ্বব্যাংক,এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় অবোকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক ইত্যাদির কাছ থেকে ঋণ গ্রহন করছে। এই সকল ঋণ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আবার পূর্বের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল বৃদ্ধি না পেয়ে বরং হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় নতুন নতুন মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আরো সর্তক হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে না সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নীতি সহায়তার বারংবার পরিবর্তনের করেও আশানুরুপ কোনো উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়নি । এতে করে বরং দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগস্ত হয়েছে মর্মে এফবিসিসিআই কর্তৃক অভিযোগ করা হয়েছে। এশীয়ার অনেক দেশ সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানীর মাধ্যমে তাদের কু-ঋণসমূহ হ্রাস করতে সমর্থ হয়েছে । বাংলাদেশ ব্যাংকিং সেক্টর এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অ-পারফরমিং লোন সমূহ সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
লেখকঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক,বেপজা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।