মাকসুদুর রহমান (বরিশাল বুরো): একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও একটি পত্রিকার ইউটিব চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান। সোমবার সকাল ১১টায় মাধবখালী ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মোঃ মিজানুর রহমান(লাভলু)। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনকি সম্পাদক মোঃ আবদুল মতিন হাওলাদার, ইউপি সদস্য মোঃ উজ্জল মৃধা, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফিরোজ আলমসহ স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু) বলেন, “গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইউটিউব চ্যানেলে আমাকে জড়িয়ে ও “মির্জাগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে চালবাজি” শিরোনামে যে অভিযোগ তুলে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দরিদ্র মানুষকে যে তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরন করা হচ্ছে, সেই তালিকা আমার প্রদত্ত তালিকা নয়। গত ২০১৬ সালে তালিকা করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই তালিকা অনুয়ায়ী চাল বিতরন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকাশিত সংবাদে নির্মানাধীন দোতলা পাকা বাড়ীর ছবি ও মালিক সুমন রেজার নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া ও কাল্পনিক। সুমন রেজা পেশায় একজন জেলে। পার্শ্ববর্তী পায়রা নদীতে মাছ শিকার করে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নির্মানাধীন বাড়ীর মালিক তার বড় ভাই মোঃ মামুন মোল্লা ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকুরীরত। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। এ জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য স্থাণীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীর নিকট মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ একটি প্রথম শ্রেনীর গণমাধ্যমে “মির্জাগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে চালবাজি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে ঐ পত্রিকার প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু) এর স্ত্রী ও আত্নীয়স্বজনরা হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম লিখিয়ে চাল নিয়েছেন।