লালমাই প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অথচ শেষ হয়নি সড়কের কাজ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন শেষ হচ্ছেনা কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ এই পর্যন্ত তিন বার বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ, তবুও কাজ শেষ করতে পারেনি কতৃপক্ষ! ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল সড়কটির ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৬ বছর পার হওয়ার পর কাজ শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। নানান সংকট নিরসন করে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি, কুমিল্লার টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালি বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কি. মি. সড়কের প্রায় ৯৭% শতাংশ শেষ হলেও ঝুলে রয়েছে লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার, শানিচোঁ ও লাকসাম বাজার কিছু অংশের কাজ। দীর্ঘ সময় ধরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ধুলোবালিতে নাকাল মানুষের জনজীবন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৬ সালে বাগমারা বাজার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহন জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি রীট করা হয়েছে যা জানতো না সড়ক বিভাগ! তাছাড়া লালমাই উপজেলার ১.৮ কি.মি শানিচোঁ অংশে এডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের বাড়ির পাশে ১.৬ কি. মি এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। জানা যায় মামলা সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হয়েছে আরো আগে তবুও অধিগ্রহণ জটিলতা যেন অদৃশ্য শক্তি কারণে আটকে আছে। এছাড়াও লাকসামে এপিপি এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪.৫ কি. মি. সড়কে তৈরি হবে ওভারপাস। সেই ওভারপাস তৈরি হলে তার উপরে ফোর লেন নির্মান করা হবে বলে বহু আগেই জানিয়েছেন সওজ কর্তৃপক্ষ! সিএনজি চালক সাইফুল বলেন, আমি প্রতিদিন লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত যাতায়াত করে থাকি কিন্তু বাগমারা বাজারে আসলে অনেক সময় দীর্ঘ ১ থেকে দেড় ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হয় যার কারনে নিয়মিত ভাবে মালিকের ভাড়ার টাকাও দিতে কষ্ট হয়। ট্রাকচালক জহির বলেন, ট্রাক ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় নিমশার বাজার থেকে কাঁচামাল নিয়ে লাকসাম, নোয়াখালী যেতে হয় তবে, বাগমারা বাজারের জ্যামের কারনে সঠিক সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারিনা যার কারনে প্রতিনিয়ত আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার কারনে এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যানজট যার ফল হিসেবে কষ্ট দুর্দশা সহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমি যতটুকু জানি বিষয়টি ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তা সঠিক টাকাও চলে গিয়েছে কিন্তু বিষয়টা সবাই জানে আশা করছি ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া হওয়ার সাথে সাথে সরকার আমাদের টাকা দিবে। এবং আমরা কাজ শুরু করে দেবো। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণের বিষয়টা আমরা সিলবুক কমপ্লিট করেছি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি, মন্ত্রণালয় আবার আমাদের কাছে বিষয়টা নেগেটিভ করে পাঠিয়েছে। আমরা আবার চিটিতে কেন বিষয়টা পজেটিভ হবে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি আশা করছি বিষয়টা পজেটিভ আসবে এবং জন দুর্ভোগ লাঘবে ফোর লেনের বাকী কাজ শুরু হবে।