নিজস্ব প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় সাধারণ ও নিরীহ মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষশত হরিরামপুর থানায় এখন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মামলা গ্রহন করা হয় না। ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ রেখে পাঠিয়ে দেয়া হলেও পরিবর্তীতে অভিযোগের কোন সুরাহা হয় না। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী আদালতের শরনাপন্ন হলে থানা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময়ে এবং সঠিকভাবে না পাঠানোর কারনে প্রকৃত বিচার থেকে বঞ্চিত হয় ভুক্তভোগীরা।
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে “Justice Delayed Justice Denied”। কেন এবং কি কারনে এধরনের অবহেলা এর তদন্ত করলে সমস্যার বিশদ বর্ণনা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কঠিন। এবিষয়ে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
হরিরামপুর ও ল্যাছড়াগঞ্জ এলাকার অনেক ভুক্তভোগীর সাথে আলাপ করে জানা যায় যে হরিরামপুর থানায় মামলা না করতে পেরে তারা মানিকগঞ্জ আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। যেসকল মামলার সঠিক প্রতিবেদন ও কোর্টে ঠিকমত দাখিল হয়নি কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় অনেকের ভাষ্যমতে উপজেলা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দুর্বৃত্ত, গুন্ডা, মাস্তান, খুনিদের অত্যাচারে এলাকাবাসী মুখ খুলতে নারাজ। অনেকেরই সন্দেহ কখন কি হয় এবং থানার সহযোগীতাতো দূরের কথা উল্টো বিপদে পড়ার আশংকাই বেশী। বাধ্য হয়ে অনেকে এসকল অপরাধী ও দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না বরং আরও বেড়েই চলছে। এ প্রতিবেদনে কয়েকটি মামলার সূত্র তুলে ধরা হল- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং- ২০২(হরি) ২০১৯। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মানিকগঞ্জ মামলা নাং ১৬৯(হরি/২০১৯)। বিজ্ঞ হরিরামপুর আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মানিকগঞ্জ মামলা নং সিএ ১৩৭(হরি) ২০২১ পরবর্তী দায়রা জজ আদালত-৫৪৮/২২, ধারা- ৪৪৭/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৩২৩/৫০৬(।।)/১০৯ পেনাল কোড। বিজ্ঞ হরিরামপুর আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মানিকগঞ্জ সিআর মামলা নং ৮৬(হরি) ২০২২। বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনার মানিকগঞ্জ পিটিশন মামলা নং ১৫/২২ ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ ধারা। মানিকগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা ও গাফিলতির জন্য সাধারন মানুষের নিরাপত্তার কথা জনগনকেই ভাবতে হয় যে কারণে ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস দেখান না।
মানিকগঞ্জে দৈনিক অর্থনীতির কাগজ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদ মোরশেদ চৌধুরী তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমির (যার দাগ নং- এসএ দাগ নং- ৯৩৮, মৌজা- লটাখোলা) কাগজপত্র ও দখল থাকা সত্ত্বেও উপজেলা চেয়ারম্যানের গুন্ডাবাহিনী দখল করে নেয়। এব্যাপারে তিনি অনলাইনে সাধারণ ডাইরী এবং থানায় সাব-ইন্সপেক্টর গিয়ে নিষেধ করার পরও চেয়ারম্যানের পেটোয়া বাহিনী নিষেধ অমান্য করে জমির ধান কেটে নেয়। ধানকাটার কয়েকদিন পূর্বে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও থানার সাব ইন্সপেক্টরকে অভিযোগটি জানানোর চেষ্টা করা হলে কেউই ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে তিনি বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপার মানিকগঞ্জের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ সুপার অভিযোগটি তদন্তে হরিরামপুর থানায় পাঠালেও থানা প্রশাসনকে বিগত কয়েক মাসে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমনকি জমির ধান কেটে নেয়ার খবর হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হলে ওনারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে দুস্কুতকারীরা নির্বিঘ্নে এই সিনিয়র সাংবাদিকের ধান কেটে নিয়ে যায়।
একজন সাংবাদিকের এহেন অবস্থা হলে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকা: হরিরামপুরে বেপরোয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পেটোয়াবাহিনী
3 Mins Read৬ Views