মাকসুদুর রহমান (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বাউফল ও কলাপাড়া উপজেলায় এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে ইতোমধ্যে তরমুজ কাটা শুরু হয়েছে। বাজারজাত শুরু করেছে কৃষকরা। দাম ভালো পাওয়ায় তরমুজ চাষীরা স্বস্তিতে রয়েছেন। জেলায় এ বছর গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০০ একর জমিতে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে।
পটুয়াখালী বিএডিসি কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ বছর পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, বাউফল, কলাপাড়ায় প্রায় ৮ হাজার একর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলন বিক্রি হবে প্রায় ২ শ’ কোটির মতো। চার মাসেই ফলন পাওয়া গেছে এ সকল উপজেলায়। বাউফল, কলাপাড়া, গলাচিপা উপজেলার প্রায় ৭ হাজার কৃষক এ বছর তরমুজের আবাদ করেছেন।
জানা যায়, বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়ন এবং গোপালীয়া চর, কলাপাড়ার ধানখালী, নীলগঞ্জ এবং চম্পাপুর, গলাচিপার আমখোলা ও আনন্দপাড়ায় সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে। এসব উপজেলায় ঘুরে দেখা যায় তরমুজ মাঠে সবুজের সমারোহ। বাউফলের কৃষক সামসুল হক এ বছর ৩০ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন, কলাপাড়ার মুন্সি দিয়েছেন প্রায় ৮৭ বিঘা জমিতে তরমুজ, গলাচিপার আনন্দপুরের জাফর দিয়েছে ৪৮ বিঘা জমিতে তরমুজ। তাদের সকলের ফলন গড়ে এখন পর্যন্ত ৬-৭ কেজি হয়েছে। প্রত্যেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা তার খরচ করেছেন। গড়ে প্রায় এক লাখ টাকার বীজ কিনতে হয়েছে ।
তারা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছর প্রত্যেকে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ জন করে শ্রমিক সামসুল, মুন্সি ও জাফরের সঙ্গে প্রায় চার মাস ধরে মাঠে কাজ করেছেন। চার মাসেই ভালো ফলন পেয়েছে এসকল উপজেলার কৃষকরা।
পটুয়াখালী বিএডিসি কর্মকর্তা সোহেল রানা জানিয়েছেন, তরমুজ চাষের জন্য মিঠাপানির প্রয়োজন। কলাপাড়ায় মিঠাপানির কিছুটা ঘাটতি থাকার পরও এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। বাউফল এবং গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা। বিএডিসি থেকে পটুয়াখালীর কয়েকটি উপজেলায় খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া কৃষকদের মাঝে এ বছর তরমুজের ভালো বীজ সরবারহ করা হয়েছে।