শাহাদাত হোসেন (নোয়াখালী)
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিবি খাদিজা আবাসিক হলে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বের হতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ১৩ নভেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়,বিবি খাদিজা হলের ৩০৬ নম্বর রুমে শর্ট সার্কিটের কারণে নিচতলার পেছনের সিঁড়ির পাশে অবস্থিত বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে বৈদ্যুতিক মিটার বক্সটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীরা দ্রুত হল থেকে বেরিয়ে আসেন। এসময় ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে তাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, হলের রুমগুলোতে শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক ওভেন, হিটার, ইন্ডাকশন কুকারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। অননুমোদিত এসব ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন সময় নোবিপ্রবির হলগুলোতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হচ্ছে।
ফারজানা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় নিচতলার পেছনের সিঁড়িযুক্ত বৈদ্যুতিক মিটার বক্স আগুনে জ্বলছিল। পরে ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। ৩০৭ ও ৩০৬নং রুমে গিয়ে ব্যাপক ধোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। ভোর ৪টার পর ফায়ার সার্ভিস যখন আসে আগুন তখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুনের ঘটনায় হল ছেড়ে বের হওয়ার সময় দুই জন পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মামুন অর রশিদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহত দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা শেষে হলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ সচল রাখতে কাজ করছে। আশা করি, দ্রুতই আমরা সংযোগ সচল করতে পারব। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব বিভাগের চলমান টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছে। স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি পরে জানানো হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।