দেশে শতকরা ৫১ ভাগের অধিক বাল্যবিবাহ হয়, এর কারণ দারিদ্রতা ও অসচেনতা

দেশে শতকরা ৫১ ভাগের অধিক বাল্যবিবাহ হয়, এর কারণ দারিদ্রতা ও অসচেনতা

রতন কান্তি দে , উখিয়া (কক্সবাজার) :
কক্সবাজারে দুর্নিবার প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে লং বীচ হোটেলে ইউনিসেফ ও জন্স হপকিন্স এর উদ্যোগে এ লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৩০ দেশি-বিদেশি এনজিও সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে -স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী বলেন
বাংলাদেশে এখনো ৫১% বাল্যবিবাহ হয়। কোভিড-১৯ এই হার কিন্তু আরো বেশি হয়। আইন অনুসরণ না করার কারণে তা আরো বেশি হয়, যা দুঃখজনক। যা শহরের চেয়ে গ্রামে অধিক। বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্রতা। অসচেতনতাই এর জন্য দায়ী। বাল্যবিবাহের কারণে বেকারত্ব ও হতাশা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পরিবার ও সমাজে বিভিন্ন অস্তিরতা তৈরি হয়।

ইউনিসেফ এর অর্থায়নে এবং জন্স হপকিন্স কর্তৃক বাস্তবায়িত ও সার্বিক তত্বাবধানে পরিচালিত দুর্নিবার লার্ণিং শেয়ারিং ইভেন্ট এর আযোজনে দিনব্যাপী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আরআরআরসি (উপসচিব) মোঃ সামসুদ দোজা, আরআরআরসি’র উপ-সচিব মোঃ তালুত, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.নাসিম আহমদ,

সমাজ কল্যাণ অধিদস্তুরের উপ-পরিচালক হাসান মাসুদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম, ইউনিসেফ কক্সবাজার-এর এস বি সি লীড জরজিনা মটেঙ্গা ও কক্সবাজারের সহকারী সিভিল সার্জন ডা নোবেল বড়ুয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার মো.নাসির উদ্দিন ও দেশের আলোচিত টিভি অভিনেত্রী ও মডেল সালাহা খানম নাদিয়া প্রমুখ।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডঃ কাজী ফয়সাল মাহমুদ।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শেয়ারিং বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা ইমাম প্রশিক্ষণ সমিতির সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার,সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও

সোনারপাড়া মসজিদের ইমাম মাওঃ হাফেজ জালাল উদ্দীন, উখিয়া মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরিন নাসরিন মায়া, তানবির রহমান মাহি, সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুলকার নাইম ও তার মা খালেদা বেগম। বক্তারা কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কিশোর-কিশোরী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইমাম ও অভিভাবক সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

বাল্যবিবাহের প্রজেক্টটি শো প্রদর্শন করেন, দুর্নিবার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জাকিয়া হক নীলা ও এফ এম ইকবাল। সর্বশেষ পালং নাট্য শিল্পীরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নাটক উপস্থাপনা করেন।

প্রসঙ্গতঃ ইউনিসেফের Addressing the Consequence of COVID-19-Ending Child Marriage in Cox’s Bazar শীর্ষক দুর্নিবার প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং ইভেন্ট এর আয়োজনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস।

Share This Post