নিয়ামত উল্লাহ (কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ) :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারী আইনের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করে আবাদি জমিতে ইট ভাটা গড়ে উঠার কারনে হ্রাস পাচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি । নিধন হচ্ছে হাজার হাজার বৃক্ষ। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায়।
কালীগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ইট ভাটা রয়েছে। এ সব ইট ভাটা গড়ে উঠেছে অধিকাংশ আবাদি জমিতে । এ সব ইট ভাটা গুলোতে বে- আইনী ভাবে পুড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে ফলবান গাছ সহ বিভিন্ন কাঠের গাছ। যার কারনে উজাড় হচ্ছে হাজার হাজার বৃক্ষরাজী। নষ্ট হচ্ছে সুন্দর পরিবেশ। এ সব কিছু জেনেও অঞাত কারনে প্রশাসন রয়েছে নীরব। একটি সূত্র জানায়, প্রতিচিমনীতে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে ৮ লাখ ইট পোড়ানো বাবদ ৩ হাজার টাকা আয়কর দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা ভ্যাট কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্টি রেখে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটিরও বেশি ইট পুড়ানো হচ্ছে। যার ফলে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বি ত হচ্ছে। অপর দিকে শুল্ক বিভাগের কতিপয় দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তারা রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। এ ছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় আবাদি জমিতে ইট ভাটা গড়ে উঠায় হ্্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি। ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ হচ্ছে নষ্ট। উজাড় হচ্ছে বৃক্ষরাজী । ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার সাধারন মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ইট ভাটার ১ জন মালিক জানান, সরকারের ভ্যাট ও কয়লা দিয়ে ইট পুড়ানো সম্ভব না। তা ছাড়া সব কিছু ম্যানেজ করে কয়লা দিয়ে ইট পুড়ালে প্রতি হাজার ইট ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পড়বে। যা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রশাসন ও সরকারী ভ্যাট ম্যানেজ করে কাঠ দিয়ে ইট পুড়ালে ৫ হাজার টাকা প্রতি হাজার ইট বিক্রি করা সম্ভব। তিনি আরো জানান, সরকারী ভ্যাট ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঝামেলা ঠেকাতে উৎকোচ দিতে না হলে কয়লা দিয়েই ইট পোড়ানো সম্ভব। এ ভাবে কয়লা দিয়ে ইট পোড়াতে খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা । ফলে সাধারন মানুষ ভাল ইট কম দামে ক্রয় করতে পারবে। পাশাপাশি বৃক্ষ নিধন বন্ধ হবে। দেশের পরিবেশর ভারসাম্য রক্ষা পাবে।