নতুন ধানে
নতুন প্রানে
চলো মাতি
পিঠার ঘ্রাণে
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উত্তরা টাউন কলেজে অঙ্গনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসব শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঞ্চার করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দিন উদ্বোধন করে পিঠা স্টল পরিদর্শন করেন।
পিঠা উৎসবে বাহারী পিঠা প্রদর্শনীর আয়োজন করে কলেজের ১১ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী পিঠা মেলার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা বিষয়ে ফুটে উঠে স্টল গুলোতে। স্টলগুলোর মধ্যে ছিল কটলারের বৈঠক খানা, লুকা পেসিওলির পিঠা কর্ণার, মৌ-পুলি, ইঞ্জিনিয়ারিং পিঠা ঘর,বাণিজ্য পিঠা ঘর, ঢেঁকির বৈঠকশালা, পিঠা যাবে পেটুক বাড়ি, কোডার বাইটস, পিঠার আড্ডা।
কলেজের ১১ বিভাগ—এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ এই আয়োজনে একটি করে স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নামে একাধিক স্টল স্থাপন করা হয়।
উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল পিঠা ঘিরে যেখানে বিভিন্ন প্রকাশনা ও বিভাগের নিজস্ব তৈরি পিঠা প্রদর্শিত হয়। জনপ্রিয় পিঠাপুলির মধ্যে ছিল মুগ পাকন, নারিকেল নাড়ু, মতিচুর,শামুক পিঠা, বুটের বরফি,ক্ষীর পাটিসাপটা, লাড্ডু,অন্নদা,পুডিং, জামাই পিঠা, বউ সুন্দরী পিঠা,ভাজা পুলি, চমশম পিঠা, নুনের পিঠা, গাজরের পিঠা প্রভৃতি।
শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের পিঠা সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও শিল্পোদ্যোগ আলোচনা করেন। প্রতিযোগিদের মধ্যে মার্কেটিং স্টলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় এবং সব স্টলের জন্যই কলেজের পক্ষ থেকে পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়।
আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নুরুল আলম ভূইয়া বলেন, “এই পিঠা উৎসব শুধুমাত্র কেনাবেচার একটি আয়োজন নয়। বরং এটি জ্ঞানের প্রসার ও শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংস্কৃতির প্রতি আরও গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করবে। মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মোছা: রওনক জাহান বলেন, আমরা চাই এমন আয়োজন নিয়মিত হোক এবং শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার পথে এগিয়ে যাক।”
অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে কলেজের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দিন আহম্মেদ এর উপস্থিতি, প্রিয় শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এগারো বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যানমণ্ডলী, শিক্ষকগণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সকল কমিটি- পিঠা উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইলিয়াছ হোসেন ও সদস্যগন এর সার্বিক তত্ত্ববধায়নে।
এই আয়োজনে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এবং মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজনটি পঠন-পাঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং এটি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলনমঞ্চ হয়ে উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ও মননশীল চর্চাকে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়।