প্রায় ৪ বছরের বেশী সময়ের গবেষণা শেষে মালেয়শিয়ার অন্যতম ও বিশ্বের ১৪৮ তম বিশ্ববিদ্যালয় “ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালেয়শিয়া (ইউপিএম)” এর “পুত্রা বিজনেজ স্কুল”- থেকে ফরেনসিক হিসাববিজ্ঞান ও আর্থিক অপরাধ তদন্ত বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের অন্যতম মেধাবী ব্যক্তিত্ব জনাব মোস্তফা সাজ্জাদ হাসান এফসিএ,সিপিএ। গত ১২ আগষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভার সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক পত্র মারফত ওনার পিএইডি ডিগ্রী নিশ্চিত করা হয়েছে।তিনি বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্স বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে বিবিএ ও এমবিএ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে চাটার্ড একাউনটেন্সী পরীক্ষায় পাশ করে ফেলো মেন্বারশীপ (এফসিএ) অর্জন করেন, সিপিএ ডিগ্রী অর্জন করেন আয়ারল্যান্ড ইনস্টিটিউট থেকে। তিনি আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব সার্টিফাইড ফরেনসিক একাউন্ট্যান্টস-এর একজন সনদপ্রাপ্ত পেশাদারী ফরেনসিক একাউন্ট্যান্ট ও সম্মানিত ফেলো মেম্বার। তাঁর গবেষণার বিষয় ফরেনসিক হিসাববিজ্ঞান ও আর্থিক অপরাধ তদন্ত। কিভাবে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা ও তদন্ত (internal audit and investigation) কাজে ফরেনসিক একাউন্টিং এর পদ্ধতি ও কৌশল গুলো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আর্থিক অপরাধ যেমন জালিয়াতি, মনিলন্ডারিং, অর্থ-পাচার, কর ফাঁকি রোধে কাজ করা যায় তার একটি ধারনাগত মডেল ( conceptual framework) তৈরি করা ছিল তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু। আমেরিকা,ইউরোপ এমনকি আফ্রিকার কিছু দেশে ফরেনসিক একাউন্ট্যান্টসদের সনদ প্রদানের জন্য আলাদা প্রফেশনাল বডি আছে।বাংলাদেশ সহ এশিয়ার অনেক দেশে বিষয়টি অনেকটাই নতুন। তবে আমাদের দেশে বতর্মানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাজীবী ইন্সিটিটিউটে ফরেনসিক একাউন্টিং পড়ানো হচ্ছে। হিসাববিজ্ঞান, নিরীক্ষাশাস্র, আইন ও বিচারিক ব্যবস্হার বিশদ ধারনা, সাইকোলজি, অপরাধ বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দ্রুত গাণিতিক বিশ্লেষন ক্ষমতা, গোয়েন্দা বিষয়ক জ্ঞান, জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল সহ প্রায় বিশটির মতো বিষয়ে ধারনা থাকলেই একজন ভালো ফরেনসিক একাউন্টেন্ট হওয়া যায় বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। ডক্টর সাজ্জাদ লালমাই তথা দক্ষিন কুমিল্লার আধুনিক শিক্ষাপ্রসারের অন্যতম পুরোধা মরহুম তাজুল ইসলাম বিএ(অনার্স)এমএ ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা মিসেস মমতাজ বেগমের একমাত্র পুত্র। জনাব সাজ্জাদ হাসানের একমাত্র বোন তাহমিনা মুক্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ডক্টর সাজ্জাদ দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন ও আর্থিক অপরাধের সঠিক তদন্ত ব্যবস্হাপনায় সরকারী ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহন করতে চান।হিসাব পেশাজীবী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘসময় ধরে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্হায় সিনিয়র পরামর্শক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।