
দীর্ঘদিন ধরে কবিতা লিখছেন সফিকুর রহমান চৌধুরী। এবারের বইমেলায় নিভৃতচারী এ কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অরন্যে অস্তমিত’ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশ করবে জয়তি প্রকাশনী।
সহজ করে কবিতা লেখার এমন কঠিন কাজটি দীর্ঘদিন নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন কবি সফিকুর রহমান চৌধুরী । তিনি কবিতা লেখেন অতিপরিচিত শব্দসহযোগে। সরল বাক্যে পঙক্তির পর পঙক্তি সাজান। তার অধিকাংশ কবিতার ভেতরে ক্ষুদ্র হলেও একটি গল্প থাকে। গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলোয় গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নাগরিক শূন্যতাবোধ ও রিক্ততার কথা। প্রেম, বিরহ, দ্রোহ, স্বদেশপ্রেম, ক্লেদ, ক্ষয়িত জীবনের কাব্যিক দৃশ্যাবলি এবং দর্শন নিয়ে ‘অরন্যে অস্তমিত’ পাঠকের কাছে যাচ্ছে।
‘অরন্যে অস্তমিত’ প্রসঙ্গে সফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমার লেখাগুলি আসলেই কবিতা কিনা আমি জানিনা। আমার মাত্রাজ্ঞান খুব কম। তবে ছোটবেলা থেকেই শখের বসে একটু আধটু লিখতাম। মা-বাবাকে শোনাতাম নিজেই আবৃত্তি করে। প্রসংশা করতেন তাঁরা। গত তিনচার বছর ধরে আবার লেখা শুরু করি এবং শুধু খেয়ালের বশে মাঝে মাঝে আমার এফবি ওয়ালে কিছু কবিতা পোস্ট করি। অনেকে প্রশংসা করেছেন। দু’একজনের নাম না বললে অন্যায় হবে এহছান খান পাঠান (বার্তা সম্পাদক, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ), রুদ্র মাহামুদ কবির (ফিল্ম মেকার), নার্গিস (একজন মানবিক মানুষ), রাকিবুল (খেলাপাগল একটা ছেলে), বন্ধু আশা (সেনা কর্মকর্তা), দিপু ( গায়ক এবং আবৃত্তিকার), হাই চৌধুরী, আমার অত্যন্ত সুহৃদ (কবি এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে), ওয়ালিউল ইসলাম ময়না মাষ্টর (কবি এবং শিক্ষক), বদরুল আলম (চাকরিজীবী এবং কবি) এরকম অনেকেই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন একটা বই বের করতে। বিশেষ করে নার্গিস, আমার ছোটবোন, অনেক কষ্ট করেছে আমার কবিতাগুলোকে গ্রন্থিত করতে। আমার কবিতার প্রথম বইটি তাই আমি আমার সকল এফবি পাঠকদের উৎসর্গ করলাম।
উল্লেখ্য, সফিকুর রহমান চৌধুরী গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং এমবিএ করা একজন পেশাজীবি। এছাড়া তিনি সিএ (চার্টার্ড এ্যাকাউট্যান্টস) কোর্স সমাপ্ত করেছেন ১৯৯৬ সালে। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সনদপ্রাপ্ত একজন দক্ষ আয়কর আইনজীবী। বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ে তিনি বিভিন্ন কোর্স সমাপ্ত করেছেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত এ্যানালিষ্টও। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহসভপাতি।