
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক এর কাব্যগ্রন্থ ‘অনুভবে নীল ফ্রক’ । কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পরিবার পাবলিকেশন্স। পিপিলিকার প্রচ্ছদ ও অলংকরণে এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। মুদ্রন ও বাধাই করেছে একজিকিউট প্রিন্টার্স। ৯৬টি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘অনুভবে নীল ফ্রক’ গ্রন্থটি। অন্যতম কবিতা: খণ্ড নীরবতায় অখণ্ড রাত, ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই তাকিয়ে, অরণ্য আমার নাম, কতটুকু দেখা যায় বিষের খেলায়, আইজুদ্দিনের নির্ঘুম রাত, ইত্যাদি। মানব মনের বিচিত্র অনুভূতির বিশ্লেষণ এবং অপ্রচলিত উপমা সহযোগে এর নান্দনিক প্রকাশ তাঁর কবিতার মূল বৈশিষ্ট। কবিতার শর্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি নিজের স্টাইল নির্মাণ করেন। “একদিন প্রেমগুলো পরিযায়ী হলে ওড়না উড়ানো বাতাসেরা খিড়কিতে আড়ি দিয়ে যাবে শিশির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা নিবারিত ছায়ামুখ ভীষণ কাঁদাবে।”
সানাউল হক ছাত্র জীবন থেকে সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সিনিয়র সদস্য। গবেষণা এবং প্রফেশনাল লেখালেখি করেন। কবিতা লেখেন নিয়মিত। তাঁর ভাষায় “অবসরে শব্দ নিয়ে চন্দ্রাচ্ছন্ন খেলা করা আমার শখ।” দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা জার্নাল, সাহিত্য পত্রিকা ও দৈনিক পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ‘অনুভবে নীল ফ্রক’ কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। এর আগে প্রকাশিত তাঁর বইগুলো হল- ‘একফালি মেঘ দল ছেড়েছে’ এবং ‘কালো আসমান শরাব খেয়েছে’।
গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে এ সপ্তাহেই নন্দিতা প্রকাশ নিয়ে আসছে তাঁর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রণয়ের জ্যামিতিক হিসাব ‘। শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক এর কাব্যচর্চা সম্পর্কে জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, “মনোলীন মুগ্ধতার মগ্নভাষায় নিজের বিচিত্র অনুভূতির কলাজ রচনা করেছেন কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। অরণ্যে বৃক্ষদের মত দাড়িয়ে থাকে তার কবিসত্তা। ” অনুভবে নীল ফ্রক কাব্যগ্রন্থটি পরিবার পাবলিকেশন্সের স্টলে (২১৩ নং স্টল, সালাম চত্বর উদ্যান অংশে) ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের স্টলে ( ১৬ নং স্টল) পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। চার রঙ প্রচ্ছদ এবং পাতায় চার রঙ অলঙ্করণসহ বইটির মূল্য ২৪০ টাকা।